প্রকাশিত: ০১/০৬/২০১৯ ১:৩৫ পিএম

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন এখনও অনিশ্চিত। মিয়ানমার বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে মক্কায় ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থ্যা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) ১৪তম শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। ওআইসির ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রের বাদশাহ, রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন ।

বাস্তুচ্যুত মুসলমান জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

শুক্রবার রাতে শুরু হওয়া এই শীর্ষ সম্মেলনে অতিথিদের স্বাগত জানান সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। শেখ হাসিনা সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করলে বাদশাহ তাকে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সম্মেলনের শুরুতেই বক্তব্য দেন সৌদি বাদশাহ। সংস্থার মহাসচিবের বক্তব্যের পর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বক্তব্য দেন।

এদিকে, তিন দেশের সরকারি সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চার দিনের জাপান ভ্রমণ শেষ করে শুক্রবার বিকেলে দ্বিতীয় গন্তব্য সৌদি আরব পৌঁছান।

তিনদিনের সৌদি আরব সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শনিবার মক্কায় ওআইসির ১৪তম ইসলামিক সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি পবিত্র ওমরা পালন এবং রোববার মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। এরপর শেখ হাসিনা ৩ জুন ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে সৌদি আরব ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ৭ জুন পর্যন্ত থাকবেন।

১২ দিনব্যাপী তিন দেশ সফর শেষে ৮ জুন প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিভাগ এবং ইউএসএআইডিয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার, ভাসানচর এ অঞ্চলের ...